ইনজিনিয়াস হেলথ কেয়ার এবং সৌহার্দ্য ফাউন্ডেশন ‘নিজ বাড়ি নিজ হাসপাতাল করোনামুক্ত বাংলাদেশ’ প্রকল্প শুরু করেছিল। এ প্রকল্পের অধীনে ঢাকার বাইরে ১৪টি জেলা ঘুরে দুই দিনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে গত বছরের নভেম্বর শেষ হয় দেশের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ প্রকল্প। নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ এবং সন্দেহভাজন রোগীর তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রোগীদের স্থানীয় সেন্টারে বিভিন্ন টেস্টসহ রোগীদের বিনা মূল্যে কোভিড-১৯ সহ নানা রোগের বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
জেলাভিত্তিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প প্রোগ্রামকে সহযোগিতা করেছে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন দপ্তর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখাগুলো, জেলার স্থানীয় প্রশাসন এবং দেশের পাঁচটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি—অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিমেড-ইউনিহেলথ, ইনসেপটা ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সব সম্মুখযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত সহযোগিতা প্রদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বাকি ছিল। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সব পেশাজীবী এবং উৎসাহ দানকারীদের সম্মান জানানো এবং একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্টন। তাঁর সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল স্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
কোভিড-১৯ মহামারির এ সময়ে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার এ কার্যক্রম শুরু হলেও চিকিৎসকসহ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ শুরু হয় জুলাই মাস থেকেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি এ কার্যক্রম শুরু করা হয় শ্যামলী খিলজি রোড থেকে। প্রথম থেকেই এই প্রকল্পের আওতায় রোগীরা পেয়েছেন বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ এবং করোনা শনাক্তের সুবিধার্থে নানা ডায়াগনস্টিক টেস্ট, যেমন বুকের এক্স-রে, সিবিসি, স্পাইরোমেট্রি, আরবিএস, অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ও ইসিজি। করোনার আরও সঠিক শনাক্তকরণের জন্য বিনা মূল্যে আরটিপিসিআর টেস্টও প্রদান করেছে প্রকল্পটি আইইডিসিআরের সহযোগিতায়। করোনা বা অন্যান্য যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হলে রোগীরা ঘরে বসেই ২৪ ঘণ্টার অক্সিজেন সেবা পেয়েছে বিনা মূল্যে, যা এখনো চলমান।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার মসজিদ সমাজ, জেনেভা ক্যাম্প এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করার পর প্রকল্পটি তাদের সেবা ঢাকার বাইরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বেছে নেয় ১৪টি জেলা। গত বছরের ৭-৮ অক্টোবর গোপালগঞ্জ থেকে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প শুরু করে। পরে ক্যাম্প হয়েছে পিরোজপুর, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও ফরিদপুরে। ১৪তম জেলা হিসেবে তারা কাজ করে বরিশালে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। বরিশালে প্রথম দিনে ২৩৪ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। শেষ দিনে দেওয়া হয় ৪০৯ জনকে। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি ঢাকাসহ সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ১১৯ জনকে সেবা প্রদান করেছে।
ঢাকায় প্রকল্পটির প্রধান সেবাকেন্দ্র ইনজিনিয়াস পালমো-ফিটে প্রতিদিন নিয়মিত এ সেবা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকায় সেবাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৫০৭ এবং ঢাকার বাইরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে এই সেবাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬১২ জন। এঁরা সাধারণভাবে তিন দিনের ওষুধ পেলেও কোথাও পেয়েছেন সাত, পনেরো, এক মাস; এমনকি দুই মাসের ওষুধও পেয়েছেন কোনো কোনো গরিব ও দুস্থ রোগী।
নাগরিক সংবাদ
নবম বছরে গবিসাস
লে
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছেছবি: সংগৃহীত
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গবিসাস কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে এ আয়োজন করা হয়। এদিন দুপুর ১২টায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় অষ্টম বর্ষপূর্তির কেক কাটেন আলোচনা সভার অতিথিবৃন্দ।
গবিসাসের সাধারণ সম্পাদক অনিক আহমেদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি রোকনুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) লায়লা পারভীন বানু। এ সময় বক্তব্য দেন ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন মোতাহার হোসেন মণ্ডল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী, রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান রাহমান চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, গবিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসিফ আল আজাদ, উপদেষ্টা মোহাম্মদ রনি খাঁ প্রমুখ।
উপাচার্য লায়লা পারভীন বানু জানান, ‘প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গবিসাস ভালো কাজ করে আসছে। আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে তোমরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। যেসব নেতিবাচক বিষয় আছে, সেটা প্রথমেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলে সমাধানের চেষ্টা করব।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অন্যতম আর্কষণ ছিল সমিতির সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের অংশগ্রহণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের এই দিনে। প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সংগঠনটি।

0 Comments